মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আ"গুন, পু"ড়েছে রিসোর্টসহ ৯০ বসতি

jtv24live.com-:- প্রকাশ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯:
রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় পুড়ে গেছে প্রায় ৯০টি হোটেল-মোটেলসহ স্থানীয়দের বসতি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র ভ্যালিতে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপদে আছেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালির একটি রিসোর্ট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এবং স্থানীয়দের বাড়ি ঘরে। চোখের পলকে বেড়ে যায় আগুনের ভয়াবহতা। এ সময় আতঙ্ক শুরু হয় সাজেকে অবস্থানরত পযটকদের মধ্যে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয়রা। কিন্তু তার আগে পুড়ে যায় প্রায় অর্ধশতাধিক বসতি। বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের পল্লীতেও। এসময় পুড়ে যায় তাদের আরও ২০টি বাড়ি ঘর। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যান খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের অধিনে বাঘাইহাট সেনাজোনের সদস্যরা। সহায়তায় এগিয়ে আসেন মারিস্যা বিজিবির ২৭ ব্যাটলিয়ন ও বাঘাইহাট বিজিবির ৫৪ ব্যাটলিয়নের সদস্যরাও। পানি না থাকায় সময়ের সাথে বাড়তে থাকে আগুনের ভয়াবহতা। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে করে পানি সরবরাহ করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও। এছাড়া গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আনসার সদস্যসহ স্থানীয়রা যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন। রাঙামাটি সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সভাপতি সূপনা দেব বর্মন বলেন, ‘৫০টির অধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট পুড়েছে। রেস্টুরেন্ট পুড়েছে প্রায় ৩০টির মতো। এছাড়া হেডম্যানের ঘরসহ স্থানীয়দের বাড়ি ঘর পুড়েছে প্রায় ২০টি। মোট ৯০টির মতো বসতি পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি। ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার। এ ঘটনার পর রাঙামাটির জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় জেলা উপসচিব মো. মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিধারণ করা হয়নি। তবে মানুষ সুরক্ষিত আছে। নিরাপদে আছেন পর্যটকরা। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে।’ রাঙামাটির বাঘাইহাট সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খায়রুল আমীন বলেন, ‘সঠিক সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে ভয়াবহতা আরও বাড়তো। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট চেষ্ট করেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে পানির উৎস কম থাকায় এতো বড় ঘটনা ঘটেছে। পর্যাপ্ত পানি ব্যবস্থা থাকলে আগুন আরও আগে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।’

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঊর্মিকে বরখাস্ত করায় পাশে দাঁড়ালেন গোলাম মাওলা রনি

ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্খরের বাসায় বসে দেশবাসীর উদ্দেশে যা বললেন শেখ হাসিনা

আসামে উচ্ছেদ ৪৫০ মুসলমান পরিবার