পাকিস্তানে মিললো স্বর্ণের খনি, মজুত ২৮ লাখ ভরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ১৮:১৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
পাকিস্তানে মিললো স্বর্ণের খনি, মজুত ২৮ লাখ ভরি পাকিস্তানে এবার পাওয়া গেলো বিশাল স্বর্ণের খনি। সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকার এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি স্বর্ণ মজুত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ এই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের জিও নিউজ ও এআরওয়াই নিউজ এই সংবাদ প্রকাশ করে। ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানান, মজুত স্বর্ণ প্রক্রিয়াজাত করলে এর মূল্য দাড়াবে ৮ হাজার কোটি রুপি। এতে দেশের সংকটে জর্জরিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। তিনি জানান, পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ১শ’ ২৭ স্থানে খনন করে এই স্বর্ণের সন্ধান পেয়েছে। ইব্রাহিম হাসান মুরাদ বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্তান (জিএসপি) এই জরিপ পরিচালনা করেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাবের তীরবর্তী অঞ্চলের ১২৭টি জায়গার নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে এসেছে জিএসপি।’ এক্সে সাবেক মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে এই মহামূল্যবান হলুদ ধাতুর উত্তোলন শুরু হলে তা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে নতুন মাইল ফলক তৈরি হবে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে নতুন মঞ্চ পাবে আগামী প্রজন্ম।’ পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে প্রায় ৬শ’ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যাকে ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ বলা হয়। বাংলাভিশনের গুগল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানিয়েছেন, কেবল অ্যাটক জেলায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই প্রায় ৩২ দশমিক ৬ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ধু নদ থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করলেও ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে। সূত্র: জিও নিউজ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঊর্মিকে বরখাস্ত করায় পাশে দাঁড়ালেন গোলাম মাওলা রনি

ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্খরের বাসায় বসে দেশবাসীর উদ্দেশে যা বললেন শেখ হাসিনা

আসামে উচ্ছেদ ৪৫০ মুসলমান পরিবার